সাজ্জাদ /মাসুম
আদালতের রায় এবং সরকারি নির্দেশনা মানছেন না আনন্দমোহন কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২কে উপেক্ষা করে ময়মনসিংহ শহরে নতুন বাজার এলাকায় ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্য করছেন তিনি । নিজেই হলেন সেই রোডম্যাপ কোচিং সেন্টারের হর্তাকর্তা । বাড়ির মালিকসহ একাধিক ব্যাক্তি এর ভাষ্য অনুযায়ী তার সাথে সকল লেনদেন হয় বলে জানান এবং তিনিই কয়েকজনকে শেয়ার নিয়ে কোচিং সেন্টার টি ভাড়া নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে এইচ এস সি পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকা সতত্ত্বেও তার কোচিং সেন্টারে নির্বিঘেœ ক্লাশ নেওয়া হচ্ছে।কোচিং সেন্টারের সাইন বোর্ডে প্রভাষক আবুল বাশারের মোবাইল নাম্বার ।
ফেব্রæয়ারি ৭, ২০১৯ বাংলাদেশে সরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২কে বৈধ বলে রায় দেয়া হয় । শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায়’ বলা হয়েছিল, একজন শিক্ষক অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের বেশি ছাত্রকে এক দিনে পড়াতে পারবেন না। তবে এর জন্যও ওই শিক্ষককে তার নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে পূর্বানুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে যে স্কুলের ছাত্র পড়বে তার প্রধানকে বিষয়টি জানিয়ে রাখতে হবে।এই নীতিমালায় স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর ওপর ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। সরকারের জারি করা এই নীতিমালার বিরুদ্ধে তিনটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। সবগুলোর শুনানি শেষে শিক্ষকদের এই রায়ের ফলে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা করেন এমন কেউ কোচিং সেন্টারে গিয়ে ক্লাস নিতে পারবেন না। এমন কি কোচিং ব্যাবসার সঙ্গে জড়াতেও পারবেন না । এ রায় কে সম্পর্ন্ন বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে দিয়ে নির্বিঘেœ প্রভাষক আবুল বাশার ময়মনসিংহ নতুনবাজার এলাকায় ১২ লাখ টাকা এডভান্স এবং প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা ভাড়ায় দুটি ফ্লাট নিয়ে রোডম্যাপ কোচিং সেন্টার চালু করেন । বি সিএস পরীক্ষা দিবেন এমন শির্ক্ষার্থীদের লোভনীয় অফার দিয়ে প্রায় ৪বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন।ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক হয়ে তিনিই বি সিএস পরীক্ষার্থীদের ক্লাশ নেন নিয়মিত অথচ নিজ স্ত্রী কে বি সি এস পরীক্ষা দিয়েও পাস করাতে পারেন নি একবারও প্রভাষক আবুল বাশার এর বেশ কয়েকজন সরকারি শিক্ষক পার্টনার রয়েছে বলে জানা গেছে এইচ এস সি পরীক্ষা চলাকালীন সময় রোডম্যাপ কোচিং সেন্টারে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় গিয়ে দেখা যায় প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন জহিরুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক । তাকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অমান্য করে কিভাবে কোচিং সেন্টার খোলা রেখে ক্লাশ নিচ্ছেন এর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে ই ক্লাশ রুম ত্যাগ করেন । চার বছর ধরেই কোন সরকাকারি নিদের্শনা না মেনেই আইন লঙ্গন করে যাচ্ছে এর প্রধান কারণ আনন্দমোহন কলেজের প্রভাষক আবুল বাশার । আদালত এবং সরকারি নির্দেশনা কোন টাই তিনি মানেন না । তিনি যা ভাবেন তাই করেন ।
একটি কলেজে শিক্ষাগত করে কিভাবে অন্য একটি কোচিং সেন্টারের মালিক হলেন কারো বোধগম্য নয় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান শিক্ষক রা অনেকে ক্লাশ নেন কোচিং সেন্টারে তবে শুক্রবারে কিন্ত উনাকে ত আনন্দ মোহনে পাওয়া যায় না শিক্ষকদের সঙ্গে তার রয়েছে অনেক দূরত্ব । কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স এবং মার্স্টাাস ১৬শ ছাত্রছাত্র দের ক্লাশ নিচ্ছেন ১২ জন শিক্ষক । নিয়মিত ক্লাশ না নেওয়ার কারণে ছাত্রছাত্রীরা অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে । শিক্ষকদের অনেকের ইঙ্গিত প্রভাষক আবুল বাশারের দিকে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান যিনি আইন প্রশাসন কে শ্রদ্ধা করে না তিনি কি সিনিয়র দের শ্রদ্ধা করবে ? এর আগে আওয়ামীলীগের সময় তিনি কারো কথা শুনতেন না । একজন প্রভাষকের কি শুধু ক্লাশ নেওয়ার কাজ কলেজের ডিপার্টমেন্টে ক্লাশের বাইরে অনেক কাজ থাকে তাকে কোন কাজই পাওয়া যায় না ।
এ বিষয়ে আনন্দ মোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আবুল বাশার কে আনন্দ মোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগে না পেয়ে তার রোডম্যাপ কোচিং সেন্টারে দেখা পেতেই কোচিং সেন্টার সম্পর্কে কোন কিছু বলতে রাজি হন নি এর পরেরদিন তিনি কলেজে যান সাড়ে ১১ টায় এসেই প্রতিবেদকের সামনে পড়ে বলেন আজকে একটু লেট হয়ে গেছে তবে তিনি কম্পিউটার রুমে নিয়ে তার শিডিউল দেখান যে তিনি সবসময় নিয়মিত আসেন ।
0 Comments