Header Ads Widget

Responsive Advertisement

আশিক চৌধুরী কে কেন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হলো

শফিয়েল আলম সুমন

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী কে কেন প্রতিমন্ত্রীর  মর্যাদা দেয়া হলো বতর্মান সময়ে তিনি কি করেছেন বা কি করছেন বা কে এই আশিক চৌধুরী তাঁর মেধা সাহসিকতার প্রমান তিনি আগেই দিয়েছেন আশিক চৌধুরী এইচএসবিসি সিঙ্গাপুরের এসোসিয়েট ডিরেক্টর, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকিং পদে কাজ করতেন। এর আগে ছিলেন আমেরিকান এয়ারলাইনসের ইউরোপ এন্ড এশিয়ার হেড অব ফাইন্যান্স। তিনি একজন চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল এনালিস্ট - সিএফএ এছাড়া গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন বছর গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের একজন এডভাইজার ছিলেন ।২০০৭ আইবিএ থেকে পাস করে লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে ফাইন্যান্সে মাস্টার্স করেছেন আশিক। এছাড়া তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিমান চালক এবং ইউএস প্যারাসুট এসোসিয়েশনের ক্যাটাগরি লাইসেন্স হোল্ডার। লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে ৩৭০০০ ফুট উঁচু থেকে জাম্প করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন এই আশিক। দেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিডা - বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এই সংস্থার মূল কাজ বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাড়ানো এবং বিদেশি বিনিয়োগ আনা। এতোদিন এই সংস্থার প্রধান (এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান) ছিলেন এডমিন ক্যাডারের সাবেক সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। তিনি এর আগে টেক্সটবুক বোর্ড, বস্ত্র পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সবশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।

 

আশিক চৌধুরী গত মাসে   চায়না টেক্সটাইল গার্মেন্টস কোম্পানী  হামজা গ্রুপের সঙ্গে ১৫০ মিলিয়ন  ইনভেস্টমেন্ট  এর চুক্সি সই করেছেন আগামী এক থেকে দু বছরের মধ্যে  ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে এছাড়া এমন বড় বড় কোম্পনাীর সিও চেয়ারম্যান বিনিয়োগ সম্মেলনে এসেছেন যা আগামী ৫০ বছরে আসেনি তিনি ডিপি ওয়ার্ল্ড এর চেয়ারম্যান সহ আরো অনেক কে এনেছেন  দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের , ব্যবসায়ীক পরিবেশ সংস্কৃতি সহ আরো অনেক কিছু যা সম্মেলন শেষে আরো বড় বিনিয়োগ এর খবর আমরা পাচ্ছি যা নিশ্চিত আশিক চৌধুরী বাংলাদেশের কর্মস্ংস্থান সৃষ্টি শ্রমিকদের মান উন্নোয়নে কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে দেশে বড় বিনিয়োগ আসবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। কিন্ত প্রশ্ন হচ্ছে  মাত্র মাসের মাথায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইনভেস্টমেন্ট তিনি বাংলাদেশের জন্য গেইন করেছেন কিন্ত প্রশ্ন জাগে না কে এই প্রতিমন্ত্রী আশিক  চৌধুরী

আশিক চৌধুরী কে নিয়োগ দেয়  ১২ সপ্টেম্বর  ২০২৪ বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীর সরকার তবে আশিক চৌধুরী প্রধান উপদষ্টো . ইউনুসের ব্যক্তিগত চয়েজে। নভেম্বরের তারিখ এক পোস্টে আশিক চৌধুরী বলেছিলেন- "দিনে প্রায় ১৮ ঘন্টা তিনি কাজ করছেন। ব্যবসায়ী, সিইও-সবার সাথে কথা বলছনে, সবকিছু বুঝার চেষ্টা করতেছেন- নতুন ইনভেস্টমেন্ট আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছেন....." মন থেকে চাইলে কোনকিছুই অসম্ভব নয়। মাত্র মাসের মাথায় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইনভেস্টমেন্ট তিনি বাংলাদেশের জন্য গেইন করেছেন!!!... শুধু তাই নয়- বঙ্গোসাগরীয় অঞ্চলে কিভাবে বিজনেস ডেভেলপ করা যায়, ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো যায় তার একটা দূর্দান্ত প্রেজেন্টেশন এবং রূপরেখা তিনি উপস্থাপন করেছে। নেক্সট বছর গুলাতে এটা ফলো করলে দারুণ কিছু করা সম্ভব।  আশিক চৌধুরী শুধু একজন সফল বিজনেস গ্রেজুয়েট নন, তিনি একজন প্রফেশনাল স্কাইডাইভার। দেশের পতাকা বুকে নিয়ে ৪১,০০০ ফুট উপর থেকে জাম্প দিয়ে যিনি গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছিলেন, তার পক্ষে দেশের জন্য যেকোনো কিছুই করা সম্ভব!

আশিক চৌধুরী (জন্মনাম চৌধুরী আশিক মাহমুদ বনি হারুন   জন্ম চাঁদপুরে  তবে তার বাবার পোস্টিং এর কারণে তার শৈশব কাটে যশোর। তিনি  সিলেট ক্যাডটে কলেজে পরর্বতীতে ঢাকা রেসেডিনেসিয়াল মডেল কলেজে পড়াাশোনা করেছেন  তিনি  ঢাকা বশ্বিবদ্যিালয়  ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টটিউিট থেকে  ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক সম্পন্ন করছেনে তিনি  লন্ডন বজিনসে স্কুল থেকে ফাইন্যান্সে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করছেনে, এছাড়া তিনি  র্চার্টাড ফাইন্যা¯িœয়াল অ্যানালস্টি।

আশিক চৌধুরী তার র্কমজীবন শুরু করনে ফব্রেয়ারি  ২০০৭ সালে ব্রটিশি আমরেকিান টোব্যাকোতে আঞ্চলিক অফিসার হিসেবে  ২০০৭ সালে আগস্ট মাসে তিনি স্ট্যার্ন্ডাড র্চার্টাড ব্যাংকে যোগ দেন এবং সেখানে র্মাচ ২০১১ র্পযšন্ত লন্ডেরিং স্ট্র্যাটেলজি এবং ফিনান্সয়াল প্ল্যানিং বিভাগে  ম্যানজোর হিসেবে কাজ করনে। তিনি দ্য বঞ্চে নামে বাংলাদশেরে প্রথম র্স্পোটস বার সহ-প্রতষ্ঠিা করেন।

২০১২ সালরে অক্টোবরে মাসে আশকি লন্ডনে আমেরিকান এয়ারলাইন্সে ফিনান্সিয়াল  স্ট্র্যাটজেকি অ্যানালস্টি হিসেবে যোগ দনে এবং মে ২০১৯- ইউরোপ এশিয়ার ফাইন্যান্স প্রধান হিসেব পদত্যাগ করেন। তিনি বাংলাদশে ইউনিলিভার  অব প্রফশেনালসে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবেওে র্কমরত ছিলেন তিনি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টরে উপদষ্টো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন  তি এইচএসবিসি বাংলাদেশে যোগ দেন এবং পরর্বতীতে সিঙ্গাপুর এইচএসিবিতে  চলে যান। তিনি  বাংলাদেশ ব্রিটিশ  কাউন্সিল থেকে পেশাগত কৃতিত্বের জন্য অ্যাওয়ার্ড  পান।  ২০২৪ সালরে অক্টোবর র্পযন্ত তিনি  ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ইনভস্টেমন্টে ব্যাংকিং-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর  ছিলেন

২০২৪ সালের সেপ্টম্বরে  মাসে আশিক চৌধুরী  বাংলাদশে বিনিয়োগ  উন্নডন র্কতৃপক্ষ এর  নির্বার্হী চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন এছাড়া তাকে  বাংলাদশে র্অথনতৈকি অঞ্চল র্কতৃপক্ষের নির্বার্হী চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয় , এপ্রিল ২০২৫  তাকে প্রতিমন্ত্রীর র্মযাদা দেওয়া হয়

আশিক  একজন আগ্রহী স্কাইডাইভার।  মেমফিসে তিনি বাংলাদশেরে পতাকা নিয়ে  ৪১,৭৯৫ ফুট (১২.৭৩৯ কেিলামটিার) উচ্চতা থেকে জাম্প করনে। ] একটি ব্যাংক স্পন্সর করেছিল  গিনিস ওয়াল্র্ড রেকর্ড সেরে   গ্রেটেস্ট ডিস্টিন্সে ফ্রি ফল উইথ ব্যানার বা ফ্ল্যাগরেকর্ড র্অজন করনে।] এছাড়াও তার বাংলাদেশে একটি প্রাইভেট পাইলট লাইসেন্স রয়েছে  আশিক চৌধুরীর স্ত্রীর নাম  নাবিলা তাঁর স্ত্রীর নাম  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। তাদের একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে। আমি আশিক চৌধুরীকে চিনি পত্রিকায় পাতায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে  সে ভালো বা মন্দ লোক, সৎ না অসৎ জানি না। তবে তার পোর্টফলিও বলে, বিডার কাজগুলো একজন আমলার চেয়ে বহুগুণ ভালো বুঝবেন তিনি। . ইউনূসের এই সরকার দুর্বল। এদের কাজ স্লো। নতুন বোতলে পুরনো মদ, এরকম হাজার সমালোচনা যারা করছেন, তারা একটু এই চেঞ্জগুলোও খেয়াল করুন।

সবার বুঝতে হবে,একদিনে বা এক মাসে বড় পরিবর্তন সম্ভব না। যারা ম্যাজিক আশা করেন, তারা হয়তো জানেন না, সব ম্যাজিকই আসলে ভাঁওতাবাজি। তবে সবকিছু আর আগের নিয়মে হচ্ছে না। হবে না। এটা  বাংলাদেশ। আপনার - আমার দেশ। কারো বাপের না।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই আশিক চৌধুরীদের কাজে লাগাবে কে? . ইউনুস আশিক চৌধুরীকে চিনেছিলেন। বাকিরাও কি চিনবে ?  তা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে , এর জন্য অফুরন্ত শুভকামনা তবে  হ্যালির ধুমকেতুর মত আবির্ভাব হওয়া আশিক চৌধুরীরা ধুমকেতুর মতই হারিয়ে যাবেন কিনা সন্দেহ করেন অনেকেই ?

 

 

 




 

Post a Comment

0 Comments