চরকা রিপোর্ট ঃ
গভীর রাতে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে কারখানায় ডাকাতি, কখনোবা যাত্রীবেশে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যান ছিনতাই। বাড়ির মালিক কে হাত পা বেধে ডাকাতি ময়মনসিংহের নগর সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রায়ই ঘটছে এমন ঘটনা। গত এক বছরে প্রায় শতাধিক মামলার রহস্য উদঘাটনসহ আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা কোতোয়ালী এবং গোয়েন্দা পুলিশ। তবে, জামিন ও খালাস পেয়ে একই ধরনের অপরাধে যুক্ত হচ্ছেন অনেকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ,গণ গণ পুলিশের বদলী অনেক টা অপরাধী ধরতে অন্তরায় হয়ে দাঁিড়য়েছে বলে মনে করেন নগরবাসী ।
সাম্প্রতিককালে ময়মনসিংহ নগরের মিন্টু কলেজ রেলক্রসিং এর কাছে অটোরিকশার যাত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই এবং নিষিদ্ধপল্লীর গেইটের সামনের থেকে টাকা ছিনতাই এর ঘটনার, ৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কোতোয়ালী পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে এদের মধ্যে কয়েকজন এই দুই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল।
এছাড়া চোর, মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজীসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ডেরর সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে কোতোয়ালী পুলিশ ডিবি সহ অন্যারা। এ বিষেয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন (ক্রাইম এন্ড অপস) জানান,ময়মনসিংহ জনবহুল নগরে পরিণত হয়েছে বিভাগীয় শহর হাসপাতাল স্কুল কলেজ বিশ^বিদ্যালয় থাকায় নানা রকমের লোক আসায় পুলিশের বেগ পেতে হলেও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে । বহিরাগত চোর ডাকাত ছিনতাইকারীরা সুযোগ টি নিচ্ছে এছাড়া পুলিশের বদলী হওয়ায় একটু সময় নেওয়া হচ্ছে। গতমাসে ৯ ডাকাত কে গ্রেফতার করা হয়েছে , এর মধ্যে ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী দিয়েছে।গত একমাসে ১৪০ জন ছিনতাইকারীদের ধরা হয়েছে। মানুষের অপরাধ মাদক জুয়া অপরাধে ৫০ থেকে ৬০ জনকে ধরা হয়েছে । অপরাধী যত স্মাট হোক সে ধরা পড়বেই ।সম্প্রতি যত অপরাধ ঘটছে তার ৯০ ভাগ ডিরেক্ট করে ফেলছি । আসামীদের ও ধরা হচ্ছে।আসামী দের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। একটি অপরাধ আরেকটি হচ্ছে অপরাধের ভয় । মানুষ যখন অপরাধের ভয় থেকে মুক্তি হবে তখন ই অপরাধ অনেকটাই হ্রাস পাবে এর জন্য মিডিয়ার ভূমিকা রয়েছে। পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অপরাধ নিমূর্ল করা সম্ভব নয় তবে অপরাধ কে এমন ভাবে দমন করবো যেন সাধারণ মানুষ শান্তিতে থাকতে পারে ।অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সবসময় বদ্ধপরিকর রয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রæত সময়েরর ভেতর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। যেখানে ৭০ লাখ নাগরিকের বসবাস সেখানে ২ হাজার পুলিশ দিয়ে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবুও যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে সেগুলোকে চিহ্নিত করছেন তারা । তিনি আরো জানান পুলিশ এমনভাবে এগোচ্ছে অনেকে মনে করে পুলিশা স্লো আসলে তা সঠিক নয় পুলিশের ভিত্তি এমন ভাবে শক্ত হচ্ছে আইনের গাইডলাইন মাধ্যম নিয়ে অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশের কাজ অব্যাহত আছে ।
0 Comments