চরকা ডেস্ক ঃ
গুজবে কান দিবেন না, যাচাই করুন এবং সত্য জানুন। টাইফয়েড টিকা পরীক্ষিত টিকা, ১২৯ বছরের পুরনো। ১৮৯৬ সালে আবিষ্কার হওয়ার পর সময়ে সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এটির ল্যাবটেস্ট হয়েছে এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শূন্যের কোটায়। তাই আপনার ০৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে টাইফয়েড টিকা দিন, আপনার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখুন। টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এডভোকেসী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ মোখতার আহমেদ। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর ) ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক শহীদ শাহাবুদ্দীন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী সুমনা আল মজিদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসকে দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, ইউনিসেফের প্রতিনিধি, আঞ্চলিক নির্বাহী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মাদ্রাসার প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
শুরুতে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টাইফয়েড টিকা সম্পর্কিত সাধারণ নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত করা হয়।টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, অনিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন এবং যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না, তাদের এ রোগ বেশি হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই ০৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু। সরকার আগামী ১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে চার সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে বিনামূল্যে এ টিকা সরবরাহ করবে। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের কর্তব্য শিশুদের ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে https://vaxepi.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং নির্দিষ্ট দিনে নিকটস্থ নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে শিশুদের টিকা দেওয়া। এরপর মুক্ত আলোচনায় গুজব ছড়িয়ে পড়া এবং অভিভাবকদের অনাগ্রহের বিষয়টি এলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, স্কুলপ্রধানগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা করুন, তাদেরকে উৎসাহিত করুন। আমরা ময়মনসিংহ নগরবাসীকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।
প্রধান অতিথি বলেন, এডভোকেসি সভায় পরামর্শ দেওয়া ও গুরুত্ব বুঝানোর কাজটা করা হয়।টাইফয়েড জ্বর বহু পুরনো, এর টিকাও অনেক প্রাচীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত এ টিকাদানে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া প্রায় শূন্যের কোটায়।আমাদের দেশের বায়ুমণ্ডলে প্রচুর ধুলাবালি আছে যা ডাস্ট এলার্জি সৃষ্টি করে। আমাদের সমাজে এমন কিছু টক্সিক লোকজন আছে যারা সমাজের কোনো উপকার করতে পারে না, কিন্তু গুজব ও অপপ্রচার করে সমাজের ক্ষতি করে। এসব লোকজন থেকে সাবধান। তিনি আরো বলেন, টিকা দেওয়া হয় শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য যাতে আমাদের শরীর সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। দেশের কল্যাণধর্মী কাজের একটি এ টিকা, যা সরকার বিনামূল্যে আপনাদের সরবরাহ করছে। নিজে সচেতন হন, প্রতিবেশীকেও সচেতন করুন।
0 Comments