গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ময়মনসিংহ জেলাধীন ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ীতে পাইওনিয়ার নীটওয়্যার (বিডি) লিমিটেডে কর্মরত শ্রমিক দিপু চন্দ্র দাস'কে নির্মমভাবে গণপিটুনিতে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে গাছে ঝুলিয়ে পোড়ানোর সাথে জড়িত সকল অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানিয়েছে ময়মনসিংহের সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ। এক যুক্ত বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: রেজাউল ইসলাম বলেন, কারখানাতে কর্মরত একটি গোষ্ঠী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে গুজব ছড়ায়। এই গুজব কারখানার বাহিরে ছড়িয়ে মানুষজনকে উত্তেজিত করে তুলে। এক পর্যায়ে দিপু চন্দ্র দাসকে উত্তেজিত জনতার হাতে তোলে দেয়। উত্তেজিত জনতা দিপুকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে নিথর দেহটিকে পুড়িয়ে দেয়। এই বীভৎস চিত্র দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উঠে এসেছে যে, গুজবের বিষয়ে দালিলিক প্রমাণসহ কোন যৌক্তিক ভিত্তি নেই। কারখানার সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তরা হীন উদ্দেশ্যে গুজব ছড়িয়ে বাইরের জনতাকে কারখানার ফটকে জড়ো করিয়ে বীভৎস অপরাধ সংঘটিত করেছে। একটি সভ্য দেশে সভ্য সমাজে এ ধরণের বীভৎস ঘটনার অবতারনা কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই হত্যা ও মৃতদেহ আগুনে পোড়ানোর সাথে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সম্মূখীন করা একান্ত জরুরি। ময়মনসিংহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুততার সাথে ইতোমধ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ভিডিও ফুটেজ, সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে সকল অপরাধীকে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা মনে করি, এই বীভৎস ঘটনায় পাইওনিয়ার নীটওয়্যার (বিডি) লিমিটেডের স্থানীয় ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অধীনস্তদের হেফাজত করা বা অপরাধ করলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা। কিন্তু তারা তা না করে বীভৎস মৃত্যুর আশংকা থাকা সত্ত্বেও উম্মত জনতার হাতে তোলে দেয়। যার দায় তাদেরকে নিতেই হবে।

0 Comments