স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী ও সর্বজন পরিচিত জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ মাদরাসার মাওলানা আজিজুল হকের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবং জেলা প্রশাসক কতৃর্ক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় প্রতিষ্ঠানটিতে দুই পক্ষে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করতে জেলা প্রশাসক প্রতিষ্ঠানটিতে সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত ১০ টায় থেকে ছুটির আদেশ দিলেও শিক্ষার্থীরা তা মানেননি। তাদের যথারীতি মাদরাসায়ই দেখা গেছে। চলেছে শিক্ষা কার্যক্রমও। শিক্ষার্থীরা মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের। জানা গেছে, ঘটনার শুরু ফয়জুর রহমান বড় মসজিদ মাদরাসার শিক্ষক আজিজুল হকের বিরুদ্ধে চারিত্রিক ও আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তোলা নিয়ে। অভিযোগটি ওঠে গত বছরের ২৭ অক্টোবর। এরপর এটি নিয়ে প্রশাসনের উদ্যোগে তদন্ত হয়।বিষয়টি নিয়ে মাদরাসায় দুটি পক্ষ গড়ে ওঠে। গত কয়েক মাস ধরে ওই দুই পক্ষে উত্তেজনা চলছে।
এদিকে, গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) প্রশাসনের সঙ্গে উভয় পক্ষের বৈঠকের পর রাতে এশার নামাজের পর মাদরাসায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে একজন আহতও হন। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে মাদরাসা এলাকায় সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ। এতে বক্তব্য দেন কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল হক। তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের মনোভাব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তারা তার পদত্যাগ চান।’
তিনি আরো দাবি করেন বহিরাগত দিয়ে আমাদের রক্তাক্ত করেছেন এছাড়া ফেসবুকের ফেইক আইডি দিয়ে সভা না হওয়ার আগে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে । ছাত্ররা আরো বলেন মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কিছুদিন আগে বহিষ্কৃত হন মাওলানা আজিজুল হক (বোররচরের হুজুর)। কিন্তু মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মুহাম্মাদ মুফিদুল আলম ‘তদন্তপূর্বক’ মাওলানা আজিজুল হকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে মুফতী মোফাজ্জল হককে শিক্ষক পদ থেকে বহিষ্কার করেন এবং মুফতী সারোয়ার হোসেনকে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ ও পরিচালনা কমিটি থেকেও সরিয়ে দেন। এছাড়া বড় মসজিদ মাদরাসার প্রধান প্রখ্যাত ময়মনসিংহের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আব্দুল হককে অসম্মানজনকভাবে বার বার ডেকে অপদস্থ করেন ।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে বলা হয়, দুই পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে ঘটনাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়ে যাওয়ার পর মারামারি ও একজন আহত হওয়ার ঘটনা দুঃখজনক।

0 Comments