Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নানান কর্মসূচীতে ময়মনসিংহে সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের বিজয় দিবস পালন।।


 


নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস পালন করে স্থানীয় সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘ। কর্মসূচীর প্রথমে সংগঠনটি সকাল ১০ টায় বিজয় শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি নগরীর টাউন হল হতে  জিরো পয়েন্ট হয়ে ব্যাটবল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জাতীয় পতাকা উড়ানো, মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রের স্মারক হিসেবে কাঠের তৈরি. ৩০৩  রাইফেল স্টেশনগান প্রদর্শন দেশাত্মবোধক গান বাজানো হয়।

 

শোভাযত্রা শেষে ব্যাটবল চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ১৯৭১' মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। ১৯৫২ সালে মাতৃভাষার দাবী আদায়ের মাধ্যমে বাঙালী জাতির মনে স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্খা জেগে উঠে। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ বেয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে সে আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হয়। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি অসম যুদ্ধ। পাকিস্তানের শেকল ভেঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে এই অসম যুদ্ধে অদম্য সাহস বলে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ভারী অস্ত্রের বিপরীতে. ৩০৩ রাইফেল, স্টেনগানের মত হালকা অস্ত্র নিয়ে অসম যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। কিছু সংখ্যক পাকিস্তানপন্থী ব্যতীত তৎসময়ের পুরো বাঙালী জাতি মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে মুক্তিযুদ্ধ রূপ নেয় জনযুদ্ধে। জনযুদ্ধে পরাস্ত হয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে উদিত হয় নতুন সূর্য, যে সূর্যের নাম বাংলাদেশ। বাঙালী জাতি উড়ায় লাল সবুজের পতাকা। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের পূর্ব প্রজন্ম জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। তাদের এই অবদানকে স্মরন করতে হবে, যা আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য। পূর্ব প্রজন্মের আত্মত্যাগের ফলেই আজ আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে আমাদেরকে বিন্দুমাত্র বিচ্যূত হওয়ার কোন অবকাশ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের বাস্যযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের নিবেদিত হতে হবে। লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, উগ্রবাদকে প্রতিহত করতে হবে। সাম্যের সহাবস্থানের বাংলাদেশের মধ্যে নিহিত রয়েছে পুর্ব প্রজন্মের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বাস্তবায়ন চিত্র।

 

সমাবেশে বক্তারা জয়নুল উদ্যানের ব্যাটবল চত্বরের নিকটে অবস্থিত অবহেলিত বধ্যভূমি রাষ্ট্র কর্তৃক সংরক্ষণের জোর দাবী জানান। উল্লেখ্য, এই বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য ৯৯ লাখ টাকার প্রাক্কলন বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

 

সংগঠনের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আহমেদের পরিচালনায়  সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তপন কুমার সাহা, ইঞ্জিনিয়ার এম জিন্নাহ, ডা: এম জব্বার, অঞ্জন সরকার, আব্দুল হান্নান আল আজাদ, মো: আব্দুল মান্নান, নজরুল ইসলাম জুয়েল,  সৈয়দ আরমান হোসেন, তানজিল হোসেন মুণিম, আবু সাইফ মুহম্মদ সাইফুল্লাহ, রায়হান আকন্দ হৃদয়, আবীরাত হোসেন, সেবিকা দাস, সাবিকুন্নাহার পান্না, রফিকুল ইসলাম রফিক, খন্দকার রুমন প্রমূখ।

 

Post a Comment

0 Comments