স্টাফ রিপোর্টার : প্রতি জেলা, মহানগর এবং প্রতিটি গ্রামে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন করতে হবে। তবে নতুন সদস্য বুঝে শুনে করতে হবে। জানতে হবে তারা বিএনপির নীতি আদর্শ বিশ্বাস করে কিনা। যিনি নতুন সদস্য হতে চান- তিনি কি বিপদে পড়ে এসেছেন নাকি ক্ষমতার লোভে এসেছেন তাও বিবেচনায় নিতে হবে। নতুন সদস্য করার আগে পুরোনোদের মতামত নিতে হবে। যারা দীর্ঘদিন দলে সক্রিয় থেকে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তারা সামনে যাবেন। আর যারা পরে আসছেন তারা পেছনে থাকবেন। কারণ নেতা তাকে মানতে হবে, দলে যার অবদান বেশি।
বুধবার (২১ মে) ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হলে বিএনপির সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে এখনো প্রশ্ন তুলি নাই। কিন্তু বেশ কিছু বিষয়ে জনগণের মধ্যে কিছু প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকারে থেকে বিশেষ রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এই অন্তর্বতী সরকার দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী নিয়োগ দিয়েছে, সেই নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীনভাবে মতামত ব্যক্ত করলেও তাদের হুমকি দেওয়ার জন্য ঘেরাও কর্মসূচি হচ্ছে। বিষয়গুলো ভালো দৃষ্টান্ত না।
সংস্কার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা সংস্কারও চাই। আমাদের চেয়ে বেশি সংস্কার আর কোনো দল চায় না। বিএনপি যখন সংস্কারের প্রস্তাব করে, তখন বহু রাজনৈতিক দল সংস্কারের কথা উচ্চারণ করেনি, আবার অনেকের জন্মও হয়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামে দেশের লাখ লাখ মানুষ জেল-জুলুম সহ্য করে যে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল, সেই ক্ষেত্রে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেলেও এখনো আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য পূরণ হয়নি। আংশিক দাবি আদায় হয়েছে। এখন প্রয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে আইন প্রণয়ন করে সংস্কার করা যায়। আমরা বলেছি ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক। নির্বাচন কমিশন বলছে- জুনের মধ্যে তারা প্রস্তুত।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন এবং আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধক্ষ মো. রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম এনায়েত উল্লাহ কালাম, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে উপস্থিত বিএনপি, ছাত্রদল ও মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ প্রধান অতিথির কাছে সদস্য ফরম ও ২০ টাকা জমা দিয়ে তাদের সদস্য পদ নবায়ন করেন। পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ মহানগরসহ বিভাগের প্রতিটি জেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ণ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
0 Comments