চরকা ডেস্ক ঃ
*নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ হতে ১৩ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ দাবি: র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কর্তৃক অভিযানে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানা এলাকা হতে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারী চক্রের ০২ (দুই) সদস্য গ্রেফতার*
১। এজাহারে উল্লেখিত বাদীর বক্তব্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ২৫ জুন ২০২৫ খ্রি. বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকায় বাদীনির ছেলে ভিকটিম বাড়ী থেকে মাদ্রাসা যাওয়ার পথিমধ্যে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভাধীন হাটমোহনগঞ্জ সাকিনস্থ কাপড় পট্টি মোড় থেকে ভিকটিমকে অজ্ঞান করে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় ভিকটিম বাড়ীতে না ফিরলে ভিকটিমের মাতাসহ পরিবারের লোকজন খোজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাদীনির মোবাইল ফোনে অজ্ঞাতনামা মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে ৯,০০,০০০/- (নয় লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বাদীনি অপহরণকারীদেরকে অনুরোধ করে ২,০০০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা মুক্তিপণ দিতে চাইলে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে ফেরত দিতে সম্মত হয়।
২। এরই প্রেক্ষিতে, গত ২৯ জুন ২০২৫ খ্রি. বিকাল অনুমান ০৪:০০ ঘটিকায় অপহরণকারীরা মুক্তিপণের বিনিময়ে ভিকটিমকে ফেরত দিবে মর্মে বাদীনিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন সম্ভুগঞ্জ ব্রীজে ডাকেন। কিন্তু অপহরণকারীরা ভিকটিমকে ফেরত দিবে মর্মে ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরায়। ঐদিন সন্ধ্যা অনুমান ০৭:৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন চায়না মোড় এলাকায় অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার জন্য আসলে বাদীনি, এলাকাবাসী ও সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের সদস্যগণের সহায়তায় অপহরণকারী চক্রের ০২ (দুই) সদস্য নাঈম ইসলাম (২৩), পিতা- মোঃ আলম, এবং ওলিউল্লাহ (৩৫), পিতা- হুনরত আলী, উভয় সাং-মধুপুর, থানা-তারাকান্দা, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয়কে আটক করে। পরবর্তীতে সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের সদস্যগণ অপহরণকারীদের কাছে থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করে অপহরণকারীদ্বয়কে ভিকটিমসহ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে, ভিকটিমের মাতা বাদী হয়ে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেন। যা মোহনগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-৩০/০৬/২০২৫ খ্রি. ধারা- ৭/৮/৩০ নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২৫)।

0 Comments