স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়নসিংহের হালুয়াঘাটে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রামে বাবা ও মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া নিহতের স্ত্রী জুলেখাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম- আমির হোসেনের ছেলে রতন মিয়া (৩৫) ও তার মেয়ে নূরিয়া খাতুন (৭)। নিহতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় এলাকার খিশাকুড়ি এলাকায়। তিনি আমিরখাকুড়া গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সূত্রে জানা যায়, মোছাঃ জুলেখা বেগমের সাথে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার খলিশাকুড়া গ্রামের মোঃ রতন মিয়া (৩০), পিতা- অমির আলী, এর ৯ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ০৭ বছর বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। রতন মিয়া গাজীপুরে গার্মেন্টসে চাকরি করতেন এবং স্ত্রী জুলেখা বেগম প্রায় দুই বছর পূর্বে দুবাইয়ে গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি জুলেখা বেগম ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন এবং গত দেড় মাস ধরে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ১১ নভেম্বর রতন মিয়া প্রতি সপ্তাহের ন্যায় স্ত্রী’র কাছে আসেন। পরদিন ১২ নভেম্বর রাত অনুমান ০২:০০ ঘটিকার সময় স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ঘরের মেঝেতে রতন মিয়া ও খাটের উপর তাদের কন্যা নড়িয়া (৭) এর গলা কাটা মরদেহ পাওয়া গেছে এবং স্ত্রী জুলেখা বেগমের গলা ও হাতে গুরুতর কাটা জখম বিদ্যমান। সংবাদ পেয়ে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য সিআইডি’র বিশেষ ক্রাইম সিন টিমকে অবহিত করা হয়। আহত জুলেখা বেগমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে, যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত পূর্বক ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটির প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে ঘটনাস্থল ও এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার অতিঃ পুলিশ সুপার আব্দুলাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

0 Comments