প্রতিদিন চরকা

প্রতিদিন চরকা

বিএনপির রেখে যাওয়া মুক্তবাজার অথনীতিকে গত ১৫ বছরে কুক্ষিগত করা হয়েছে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী


 

চরকা রিপোর্ট ঃ 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং পরে খালেদা জিয়ার রেখে যাওয়া মুক্তবাজার অর্থনীতি থেকে সরে গিয়ে তাদের কিছু লোক অর্থনীতিকে কুক্ষিগত করেছিল। সঙ্গে রাজনীতিকেও কুক্ষিগত করে। কারণ অর্থনৈতিক শক্তি যার কাছে থাকবে রাজনৈতিক শক্তিও তার কাছে। এজন্য জিয়াউর রহমান অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়নের কথা বলেছেন। শুধু রাজনীতিতে গণতন্ত্রায়ন আনলে মানুষের মুক্তি হবে না। শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্রায়নের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে না। অর্থনৈতিক গণতন্ত্রায়ন করতে হবে।

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহে একটি হোটেলেবাণিজ্য বিনিয়োগ সম্ভাবনাশীর্ষক এক সম্মেলনে এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

 

 

তিনি আরো বলেন ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসুন, কাজ করুন। গত ১৫ বছরে কী হয়েছে সেটা ভুলে যান বলে মন্তব্য করেছেন তিনি বলেন, ১৩ পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট দিয়ে কোনো ব্যবসা করা সম্ভব নয়। আমাদের সময় পার্সেন্ট ইন্টারেস্ট ছিল। বিএনপি সরকারের আমলে শেয়ারবাজার ব্যাংক লুটপাট হয়নি। সরকারের কাজ হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিকে ফেসিলিটেড করা, অর্থাৎ সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু বিগত দিনে জনগণের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে কিছু লুটেরাদের হাতে অর্থনীতি তুলে দেওয়া হয়েছিল। এই লুটেরারেরা ব্যাংক লুট করেছে, শেয়ারবাজার লুট করেছে, বিদেশে অর্থপাচার করেছে, বাংলাদেশে যত মেগা প্রজেক্ট সেগুলোর মাধ্যমে লুট করা হয়েছে। তারেক রহমান মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে ভাবছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারেক রহমান রাজনীতিতে যেমন মুক্ত রাজনীতির সুযোগের কথা ভাবছেন, তেমনি অর্থনীতিতেও মুক্ত অর্থনীতির সুযোগের কথা ভাবছেন। অর্থনীতিকে গণতন্ত্রায়ন করার কথা ভাবছেন। অর্থনীতিতে ব্যুরোক্রেসি দখলদারত্ব কোনোটাই চলবে না।তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যে কষ্টের সম্মুখীন হয় সেখান থেকে তাদের বের করে নিয়ে আসতে হবে। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে নিতে হবে। কারণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি হলেন ব্যবসায়ীরা।

ময়মনসিংহ বিভাগের ব্যবসায়ী সম্মেলনের সমন্বয়ক মনসুর আলম চন্দনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল কিশোরগঞ্জ জেলার চেম্বার এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দেন।এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার, সম্মেলনের সহ-সমন্বয়ক জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু সাঈদ, তৌহিদুজ্জামান ছোটন প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments